হুগলীর শ্রীরামপুরে শ্রমজীবী হাসপাতালে এলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল

11th June 2020 12:39 pm হুগলী
হুগলীর শ্রীরামপুরে শ্রমজীবী হাসপাতালে এলেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শ্রীরামপুর ) :  করোনার চিকিৎসা কেমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে এবার হুগলির শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতালে এলো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির একটি দল । বৃহস্পতিবার সকালে
তিনজনের এই প্রতিনিধি দল হাসপাতালের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি কত রোগী এই মুহুর্তে ভর্তি ও হাসপাতালে  চিকিৎসার সরকারী নিয়ম বিধি ঠিকমত পালন করা হচ্ছে কিনা তাও  দেখেন  তারা । জেলা সদর এবং মহকুমা হাসপাতাল গুলির পাশাপাশি এই হাসপাতাল করোনা চিকিৎসায় প্রথম দিন থেকেই লড়াই চালিয়ে আসছে। এখনও অবধি ১০০ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন। এই মুহুর্তে আটত্রিশ জন এই হাসপাতালে করোনা পজিটিভ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। ফলে এই দীর্ঘমেয়াদি লড়াই এ আরোও বেশ  কয়েকদিন লড়াই চালিয়ে যেতে হাসপাতাল কতৃপক্ষকে মনোবল বাড়ানোর জন্যও অনুপ্রানিত করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদশ্যরা।শ্রমজীবী হাসপাতাল কতৃপক্ষের দাবি কোভিড ১৯ চিকিৎসার জন‍্য  হাসপাতালের পরিকাঠামো দেখে রিতিমত খুশি এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলটি।এরপর তারা কোলকাতার উদ্দেশ্য রওনা দেয়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।